পাম্পগুলো থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ থাকায় এসব বিভাগে বিপাকে পড়েছেন পরিবহন মালিক ও যাত্রীরা।
মালিকরা বলছেন, আগে কিনে রাখা জ্বালানি ব্যবহার করায় রবিবার যান চলাচলে কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু ধর্মঘট যদি চলতে থাকে তাহলে গাড়ি চালানো আর সম্ভব হবে না।
রাজশাহীতে ধর্মঘটের প্রথম দিন যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে দ্বিতীয় দিনে এসে পরিবহন মালিক ও যাত্রীদের মাঝে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।
বগুড়ার পেট্রোল পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ থাকার কারণে উত্তরের অনেক জেলায় বাস চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র সিএনজিচালিত বাস রাস্তায় রয়েছে।
সকালে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ মোমিন দুলাল জানান, তাদের দাবিগুলো নিয়ে সোমবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক হবে। ‘আলোচনা সফল হলে আমরা সে আলোকে সিদ্ধান্ত নেব।’
সাতক্ষীরায় সকাল থেকে কোনো পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি তেল বিক্রি করা হচ্ছে না। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকরা পড়েছেন বিপাকে। যারা ধর্মঘটের খবরে আগাম জ্বালানি তেল সংগ্রহ করেছিলেন তারাই কেবল গাড়ি চালাতে পারছেন।
সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুরের ভাই ভাই ফিলিং স্টেশনের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক রবিবার থেকে তারা ধর্মঘট পালন করছেন। ফিলিং স্টেশন থেকে কাউকে জ্বালানি তেল দেয়া হচ্ছে না। তাদের ১৫ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
পাম্পে তেল নিতে আসা ক্রেতা মাহবুবুর রহমান জানান, ধর্মঘটের খবর ভালোভাবে প্রচার করা হয়নি। ফলে হঠাৎ করেই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। এমন অবস্থায় খোলা বাজারেও জ্বালানি মিলছে না।
জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানো ও ট্যাংক লরিতে পুলিশের হয়রানি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করে।
পরিষদ গত ২৬ নভেম্বর বগুড়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ১৫ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারকে সময় বেঁধে দেয়। তারা জ্বালানি তেল বিক্রিতে সাড়ে ৭ শতাংশ কমিশন, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংক লরির শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বিমা প্রথা প্রণয়ন এবং ট্যাংক লরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানান।