মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নীতি অনেক সহায়ক। এ খাতের খামারিদের জ্ঞান ও পরিষেবায় অংশগ্রহণ আরও জোরদার করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) নীতি সহায়তা দিতে ও নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ নীতিমালা ও মিথেন ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রণয়ন সংক্রান্ত উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ টন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্প থেকে খামারিদের সংগঠিত করে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন এবং তাদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া খামারি মাঠ স্কুল পরিচালনার মাধ্যমে এলডিডিপি খামারিদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এরই মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন হয়েছে। প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। বিশ্বব্যাংক, এফএও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে।
রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কিছু সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সব ধরনের শর্তপূরণ করে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল বিশ্বের পদার্পণ, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী ১০০ বছরের জন্য দূরদর্শী পরিকল্পনা ডেল্টাপ্ল্যান প্রণয়ন করেছেন। কীভাবে একটি দেশ পরিচালিত হবে, কীভাবে দেশের জনগণ কাজ করবে, কীভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হবে, কীভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যাবে, এর সবকিছুর পরিকল্পনায় রয়েছে।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, উন্নত, উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশের জন্য নয় বরং সবার জন্যই আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্যথায় শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি বিশ্বের মানুষের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে বণ্টন করা যাবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সীমানা আমাদের আলাদা পরিচয় দিতে পারলেও আকাশ, পানি, সমুদ্র, জলবায়ু আমরা আলাদা করতে পারি না। এজন্য সমগ্র বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের বঞ্চিত, অনুন্নত, দরিদ্র দেশসমূহের প্রতি বিশ্বব্যাংক, এফএও ও অন্যান্য সংস্থাসমূহের বিশেষ নজর দিতে হবে। পাশাপাশি যারা অনুন্নত, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং যারা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার তাদের জন্যও আলাদা দৃষ্টি দিতে হবে। বিশেষ করে তাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ১২ অক্টোবর-২ নভেম্বর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী