এলডিসি পরবর্তী সময়ে প্লাস্টিক খাতের টেকসই উন্নয়ন, প্লাস্টিকের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কাঠামো সহজীকরণ,সংশ্লিষ্ট নীতির আধুনিকীকরণ, বায়ো-প্লাস্টিকের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা, সম্ভাব্য দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করার আহ্বান জানিয়েছেন ওয়েবিনারের বক্তারা।
শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এলডিসি-পরবর্তী বিশ্বে টেকসই রপ্তানি বৃদ্ধি: প্লাস্টিক খাতের কৌশল’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব বিষয়ের ওপর জোর দেন।
বক্তারা প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগে (এফডিআই) আকৃষ্ট করার জন্য দেশীয় বাজার রক্ষায় আলোচনার দক্ষতা বৃদ্ধি, পণ্যের বৈচিত্র্য আনয়ন, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, স্বীকৃত বিশ্বমানের টেস্টিং ল্যাব সুবিধা বাড়ানোর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্লাস্টিক ব্যবসা বৃদ্ধি এবং সৃজনশীল পণ্য ডিজাইনিং এর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আগামী দশকে ৮০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর প্রতিশ্রুতি অস্ট্রেলিয়ার
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী যা বাংলাদেশকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।প্লাস্টিক খাতে বিভিন্ন সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করতে তিনি সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের সমন্বয়ে একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দেন।
তিনি আরও ভালো প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমাধানের আহ্বান জানান।
কায়কাউস বলেছেন, ‘আমাদের নিজস্ব সার্টিফিকেশন এজেন্সি থাকা উচিত এবং তিনি পিপিপি মডেলকে সর্বোত্তম বিকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সার্টিফিকেশনের জন্য এখন আমরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করছি। ‘আমরা প্লাস্টিক ব্যবহার এড়াতে পারি না, বরং দূষণ কমানোর জন্য আমাদের ১০০ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা উচিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ওষুধ, প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রিক পণ্য নিতে আগ্রহী ইথিওপিয়া
প্লাস্টিক খাতের রপ্তানির জন্য লজিস্টিক খরচ সত্যিই বেশি এবং এটি হ্রাস করা দরকার বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
রিজওয়ান রহমান বলেন, জিডিপিতে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির অবদান দশমিক ৩৩ শতাংশ। তিনি উল্লেখ করেন, প্লাস্টিক খাতে প্রায় পাঁচ হাজার ১১০টি কোম্পানি কাজ করছে এবং এর মধ্যে ৯৮ শতাংশই এসএমই।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, টেকসই শিল্প প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সরকার একটি খসড়া প্লাস্টিক নীতি তৈরি করেছে। যেহেতু এলডিসি-পরবর্তী সময়ে অনেক অগ্রাধিকার থাকবে না তাই সম্ভাব্য দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ এবং আরটিএ স্বাক্ষর করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের আরএমজি সাফল্যের মডেলটিকে অন্যান্য রপ্তানিমুখী উৎপাদন খাতেও প্রযোজ্য করতে হবে।