ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের একটি মারামারির দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরের মা পারভিন আক্তারের দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ জুন) সকালে শহরের পুলিশ কোয়াটার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিন কিশোরের নাম- শুভ, ইফাত ও প্রিয়। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছর।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘এফসিবি’ নামের কিশোর গ্যাং হায়দার ক্লিনিকের পাশে খালি জায়গায় মারামারির একটি দৃশ্য ভাইরাল হয়। ভিডিও ফুটেজে ফেনী মডেল হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আমিরুল হুদা মুবিনকে (১৪) পিটিয়ে আহত ও পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় স্কুলব্যাগে ধারালো অস্ত্র, কিশোর গ্যাংয়ের ১৬ সদস্য আটক
ভিডিওটি পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রাতে ভুক্তভোগী কিশোরের মা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আমিরুল হুদা ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর মন্দিয়া গ্রামের সামসুল হুদার ছেলে। বর্তমানে সে ফেনীর পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার বৌবাজারে ভাড়া বাসায় থাকে।
মামলার আসামিরা হলো- শহরের ডাক্তার পাড়ার ওয়াসিম (১৬), আব্দুর রহমান (১৪), রাসেল (১৫), সিয়াম (১৫), আছিম (১৫), ইসফার (১৫), জয় (১৫), প্রিয়ম (১৫), ইফাত (১৫), পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার আল কেমী হাসপাতালের পিছনের এলাকার নোমান (১৪), শুভ (১৫)। তারা শহরের ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা, শাহীন একাডেমি স্কুল, হলি ক্রিসেন্ট স্কুল, সেন্ট্রাল হাই স্কুল ও ফেনী মডেল হাইস্কুলের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্র হত্যা: কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে পুলিশ এজহার নামীয় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, কিশোর অপরাধ দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্স অবস্থায় রয়েছে। এদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর। যেসব ঘটনায় মামলা হয় সে মামলায় এজহার নামীয় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলকে আন্তরিক হতে আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘কিশোর গ্যাং’র ছুরিকাঘাতে আহত ২