চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বলের দুর্গম পাহাড়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। সেখানে অভিযান চালিয়ে ১০টি বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশসহ একজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে অভিযানটি চালায় র্যাব-৭।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি ও ১০টি অস্ত্রসহ মূল কারিগর জাকির হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,বাঁশখালী উপজেলার নতুনপাড়া এলাকার জনৈক আব্দুর রহমানের টিনের দোচালা ঘরের ভেতর মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্র তৈরী ও ক্রয়-বিক্রয় করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার র্যাব-৭ এর একটি দল অভিযান পরিচালনা করে জাকেরুল্লাহকে (৫০) আটক করে। তার দেয়া তথ্য অনুসারে ঘরটিতে থাকা সাদা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে দেশেই তৈরি আটটি ওয়ান শুটারগান, দুটি টু-টু পিস্তল ও অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের বিষয়ে বুধবার দুপুরে র্যাব-৭ এর চাঁন্দগাও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এম এ ইউসুফ বলেন, দেশীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি এসব অস্ত্রের সঙ্গে তিনটি চক্র জড়িত। এক চক্র অস্ত্র বানায়, অপর চক্র বিক্রি করে (দালাল চক্র) এবং অন্যটি ক্রেতা।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গোয়ালঘর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ
তিনি বলেন, আটক জাকেরের দেয়া তথ্যমতে এসব অস্ত্রের ক্রেতা তিন শ্রেণীর। তারা হল মাদক ব্যবসায়ী, সাগরের জলদস্যূ ও মহাসড়কে পরিবহণ ডাকাত চক্র। স্থানীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি এসব অস্ত্র বানাতে প্রকারভেদে খরচ পড়ে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। দালালদের চাহিদা মতো তৈরি এসব অস্ত্র বিক্রি করা হয় পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকায়। আর দালালারা একএকটি অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায়।
র্যাবের এই প্রধান জানান, দুর্গম পাহাড়ে তৈরি এসব অস্ত্র বিগত নির্বাচনে ব্যবহার হয়েছে কি-না বা আগামী নির্বাচনে ব্যবহার হবে কি-না এসব বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার, আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ