প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছেন, উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। এই মর্যাদা ধরে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে যাতে আমরা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি যা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল।’
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মূল অনুষ্ঠানটি হয়েছে কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে বিশ্বে গর্বিতভাবে অবস্থান করছে। অগ্রগতির এই যাত্রা যেন থেমে না যায়; এটাই আমার ইচ্ছা।’
দেশকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার যে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে তা নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রাখতে তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে... এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে।’
তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে রূপকল্প-২০৪১ প্রণয়ন করেছে এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
‘তাই বাংলাদেশকে আর কেউ পিছিয়ে নিতে পারবে না। আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব।’
আবেগ জড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার বাবা ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাবার মতো আপনাদের জন্য আমার জীবন দিতে দ্বিধা করব না। যত বাধাই আসুক না কেন, আমরা অবশ্যই এই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবো।’
তিনি বলেন, সবাই সুন্দর ও উন্নত জীবন পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের আস্থা ও ভরসাই তাদের কল্যাণে সরকারের কাজ করার চালিকাশক্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বৃহত্তর সৌদি বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া এ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে দেশের উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।