চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের অসাধারণ সাফল্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ‘চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং তা আরও শক্তিশালী হবে।’
স্টেট কাউন্সিলের প্রিমিয়ার লি কিয়াং এবং স্টেট কাউন্সিলের স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিন গ্যাং যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে পৃথকভাবে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
বর্তমানে প্রেসিডেন্ট শি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন দৃঢ় ও গভীর রাজনৈতিক সম্পর্ক উপভোগ করছে এবং কার্যকর সহযোগিতা ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে প্রস্তুত চীন: শি জিনপিং
তিনি বলেন, ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর যৌথ নির্মাণ ফলপ্রসূ ফলাফল এনেছে, যা দুই দেশ এবং তাদের জনগণের জন্য সত্যিকার সুফল বয়ে এনেছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পাঠানো তার বার্তায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, ‘আমি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিই এবং চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।’
শি বলেছেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চীন সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আপনাকে, আপনার দেশের সরকার ও জনগণকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক উদ্যোগে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে এবং স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চীন উন্নয়ন সহযোগী, রাজনীতিতে মাথা ঘামায় না: তথ্যমন্ত্রী
চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী