বাংলাদেশে মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দুর্নীতি নিয়ে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, আরএসএফ ও টিআইবির মতো সংস্থাগুলোর তীব্র নিন্দা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের কারণে এই সংস্থাগুলো তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।’
বুধবার ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওক্যাব) সদস্যদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআইবি) বাংলাদেশ শাখা কোনো বিষয়ে গবেষণার পরিবর্তে রাজনৈতিক দলের মতো বিবৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: রেদওয়ানের গুলিবর্ষণ বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে কিনা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
সমালোচনার সমর্থনে মন্ত্রী সাম্প্রতিক কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরেন। যেমন রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার তিনজন আত্মীয়ের টিকিটবিহীন ভ্রমণের বিষয়ে টিআইবির বক্তব্য এবং বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় দুর্নীতির অভিযোগ।
হাছান বলেন, ‘টিআইবির করোনার টিকায় প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথার অপব্যাখ্যা।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (এআই) নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন আন্দোলনের নামে সরকারের বিরুদ্ধে পেট্রোল বোমা হামলা চালায় তখন তারা নীরব ছিল। তবে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল।
তিনি বলেন, ‘এভাবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এখানে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।’
প্যারিস ভিত্তিক আরএসএফের (রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার) প্রকাশিত সর্বশেষ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক আবারও প্রত্যাখ্যান করেছেন মন্ত্রী। এ সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০ ধাপ পিছিয়ে ১৬২ তে নেমে এসেছে।
তিনি প্রশ্ন করেন, কীভাবে এমন একটি সংস্থাকে বিশ্বাস করা যায় যেটি বাংলাদেশকে আফগানিস্তানের পেছনে রাখে। আফগানিস্তান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য একেবারেই পরিচিত নয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান বলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশকে (পিআইবি) দেশের সাংবাদিকদের ডেটাবেজ প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরএসএফ প্রতিবেদন অগ্রহণযোগ্য: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকদের চিহ্নিত করা যাতে তারা তাদের কাজ করতে এবং চাকরি বজায় রাখতে নিরাপত্তা পায়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) ডিজিটাল হয়রানি, জনগণের মর্যাদা ও গোপনীয়তার ওপর হামলা থেকে তাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে বলে পুনর্ব্যক্ত করেন হাছান।
কিছু ক্ষেত্রে ডিএসএ’র অপব্যবহার হয়েছে স্বীকার করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি একেবারে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়।’