বাংলাদেশের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা যৌথভাবে শনিবার মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে ভারতের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি সান ফার্মার নতুন প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেছেন।
সান ফার্মা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিশেষায়িত জেনেরিক ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা, যা ১০০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বছরে ১০০ কোটিরও বেশি ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল উৎপাদনের সক্ষমতা নিয়ে বাংলাদেশে এটি এই প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় বিনিয়োগ।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও শিল্প সংশ্লিষ্টতার অংশ হিসেবে নতুন বিনিয়োগের কথা তুলে ধরেন। এটি তাদের সম্পর্কের সাম্প্রতিক রূপান্তরের একটি দৃশ্যমান প্রতীক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই প্ল্যান্ট বাংলাদেশের কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রথম ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিট। এটি কেবল বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির ভারতের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির একটি প্রমাণ নয়, বরং এটি বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের উদাহরণ।
হাইকমিশনার ভার্মা কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততাসহ স্বাস্থ্য খাতে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। সেসময় ভারত 'ভ্যাকসিন মৈত্রী' এবং অক্সিজেন এক্সপ্রেস-এর আওয়তায় বাংলাদেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশও ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ উপহার দেয়।
গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির স্বীকৃতি দিয়ে হাইকমিশনার জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উত্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের ৮০ কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী: সালমান এফ রহমান
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের চালু থাকা ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) চাহিদার প্রায় ৩০ শতাংশ পূরণ করে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের প্রবৃদ্ধির রেকর্ড অনুযায়ী ভারত একটি বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার।
সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদনে নতুন করে গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারতীয় নির্মাতাদের জন্য যৌথ উদ্যোগ, যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টা এবং প্রযুক্তি চুক্তির আকারে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন ভারতীয় বিনিয়োগ কেবল দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ককেই শক্তিশালী করবে না, বরং দুই অর্থনীতির মধ্যে শক্তিশালী সরবরাহ ব্যবস্থা এবং মূল্য শৃঙ্খল সংযোগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও আরেকটি পদক্ষেপ হবে।
আরও পড়ুন: করদাতাদের ওপরই বেশি চাপ দিচ্ছে এনবিআর: সালমান এফ রহমান