পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প সর্বাধুনিক কারিগরি প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ উৎপাদন করছে এবং বিশ্বের অনেক দেশে প্রতিযোগিতামূলক দামে ওষুধ রপ্তানি করছে।
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি ওষুধ নিতে আহ্বান জানান এবং বলেন যে কোভিড-১৯ এর সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে অনেক মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট নিয়েছিল।
মঙ্গলবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন বায়োটেকনোলজি কোম্পানি ডায়াডিক এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্ক এমালফার্ব তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাক্ষাতকালে ডায়াডিক এর প্রেসিডেন্ট মার্ক এমালফার্ব বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওষুধ কোম্পানি এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে ভ্যাক্সিন উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগের বিষয়ে অবহিত করেন।
এসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশে অত্যাধিক উৎপাদন ব্যয়ের কারণে ওষুধের মূল্য অনেক বেশি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওইসব দেশের বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে তুলনামূলক সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।
মোমেন এক্ষেত্রে ভ্যাক্সিন উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ডায়াডিকের মতো বিশ্বখ্যাত বায়োটেকনোলজি কোম্পানির সহযোগিতার উদ্যোগের জন্য মার্ক এমালফার্বকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ইইউএন-হ্যাবিট্যাট সম্মেলনে যোগ দিতে কেনিয়া গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উজবেকিস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সিআইএস-বিসিসিআই নেতাদের বৈঠক