পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে চমৎকার দ্বিপাক্ষীয় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে আগামীতে তা আরও জোরদার হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের সঙ্গে অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ ও আশাব্যঞ্জক আলোচনা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ড. মোমেন দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা পড়ে শোনান।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশের উষ্ণ সম্পর্কের ভিত্তি করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জো বাইডেনের চিঠির ভাষ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জো বাইডেন লিখেছেন, ৪ এপ্রিল আমরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছি যা আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলতে বাংলাদেশের মানুষের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, দেশকে সমৃদ্ধ করা, উদ্ভাবনী কর্মপ্রচেষ্টায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য একটি মডেলে পরিণত হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চিঠিতে জো বাইডেন দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন যে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারীত্বের সম্পর্ক আগামী ৫০ বছরে নিঃসন্দেহে আরও শক্তিশালী হবে।

মায়ামিতে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল উদ্বোধন উপলক্ষে ফ্লোরিডায় বসবাসকারী বাংলাদেশিদের অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফ্লোরিডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মায়ামিতে বাংলাদেশের এই কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপনের অনুমতি দিয়েছেন। এই কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপনের ফলে এই অঞ্চলে আমাদের কনস্যুলার সেবা প্রদান আরও সহজ ও উন্নত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন: দেশের ‘স্বচ্ছ’ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ব্লিঙ্কেনকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে মায়ামিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ইকবাল আহমেদ বক্তব্য দেন। এসময় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলামসহ মায়ামির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।