পারিবারিক কলহের জের ধরে বাগেরহাটের ফকিরহাটে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের স্বামীর বিরুদ্ধে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শ্যামবাগাত গ্রামে ওই নারীর বাবার বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আরিফা বেগম (১৮) খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনাটি গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী। অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন পেশায় অটোচালক। তাদের এক বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত আরিফা বেগমের শাশুড়ি লিপি বেগম (৪০) ও সৎ মা জাহান বেগমকে (৩৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে আ’লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ন ম খায়রুল আনাম জানান, গত শুক্রবার আরিফা বেগম এক বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে ফকিরহাটের শ্যামবাগাত গ্রামে তার বাবা বাসায় চলে আসে। পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার রাতে তার স্বামী লোকজন নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শাশুড়ি ও সৎমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে হেলাল উদ্দিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চালককে কুপিয়ে হত্যা
নিহত আরিফা বেগমের পরিবারের অভিযোগ, ২০১৩ সালে আরিফা বেগম ভালোবেসে খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ইউসুফ আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে নানাভাবে তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। প্রায় সময় আরিফা স্বামীর বাড়ি থেকে তার মায়ের ভাড়া বাসায় চলে আসতো। গত শুক্রবার আরিফা ছেলেকে সাথে নিয়ে তার বাবা বাসায় চলে আসে। সোমবার রাতে আরিফার স্বামী শ্বশুরবাড়িতে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।