বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনমাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
সোমবার ঢাকার ৯নং বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৩ সালে বিএনপিসহ ১৮ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধে ভাষানটেক থানা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলায় তাদের এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামির মধ্যে সাতজন কারাগারে আছেন। তারা হলেন- ভাষানটেকের আবদুর রহমান (৫৫), সুমন চন্দ্র (২২) , আমিনুল ইসলাম (২১), সোহেল (২৫), কাউসার (২২), জুয়েল (২০) ও লিটন (৪০)।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি-ছাত্রলীগের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
পলাতক রয়েছেন তিন আসামি। তারা হলেন- জসিম (২০), শহিদ (৩৫) ও মহসিন (২৭)। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।
এছাড়া, মুক্তিপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ইসমাইল, আজাদ, বকুল হোসেন, নজরুল ইসলাম, নাডু জামান, আব্দুল কালাম, জিলাফি বাচ্চু, বিকু জামান, জলিল ইসলাম, ফিরোজ, শামীম, কালা বাচ্চু, আলতাফ হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ওবাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৩ সালে বিএনপিসহ ১৮ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় আসামিরা ভাষানটেক মোড়ে নাশকতা সৃষ্টি করতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আসামিরা বিএনপির নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে ২৬ নভেম্বর বিএনপিসহ ১৮ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা ব্যানারসহ দলের কর্মসূচিতে অংশ নিতে ১৪ নম্বর মোড়ে সমবেত হন। তখন পুলিশ আসামি আবদুর রহমানের কাছ থেকে তাঁতী দলের একটা ব্যানার জব্দ করে। আর মামলার আসামি সুমন চন্দ্রের কাছ থেকে একটি ককটেল জব্দ করে পুলিশ। এ ছাড়া আসামি জসিম, আমিনুল, জুয়েল ও কাউসারের কাছ থেকে মোট ছয়টি ককটেল উদ্ধার হয় বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়।
এ ঘটনায় ভাষানটেক থানার উপ-পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন।
২০১৪ সালের ৩১ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ভাষানটেক থানার উপ-পরিদর্শক এ বি এম আসাদুজ্জামান।
মামলায় বিভিন্ন সময় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আসামি পক্ষের চারজন আদালতে সাফাই সাক্ষী দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি-পুলিশ সংর্ঘষ: শাহাদাতসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা