বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপী ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্টদূত রেন্সজে তেরিংক মঙ্গলবার বিজিএমইএ অফিসে সদ্য নির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতকালে তারা বিভিন্ন বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়াবলী বিশেষ করে, পোশাক শিল্পে স্থিতিশীলতা, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রেক্ষিতে ইইউ-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব আরও জোরদারকরন নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ইউরোপিয়ান বাজার বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৬ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন হবে ইইউ বাজারে জিএসপি প্লাস এর আওতায় পণ্য রপ্তানির সুবিধা পাওয়া।
তিনি এ বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
বিজিএমইএ সভাপতি কোভিডকালীন সময়ে বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকদের জন্য ইইউ যে তহবিল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে তার অগ্রগতিও জানতে চান। তিনি দক্ষতা ও শিল্পের উদ্ভাবনী সক্ষমতা বাড়াতে বিজিএমইএ’র নতুন উদ্যোগ, বিজিএমইএ ইনোভেশন সেন্টার ও এলডিসি উত্তরণ বিষয়ে গবেষণার জন্য ইইউ’কে সহযোগিতার অনুরোধ জানান।
ইইউ’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে অব্যাহতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করে আসার জন্যও বিজিএমইএ সভাপতি ইইউ রাষ্টদূতকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এ সময় বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের ডেপুটি হেড অব মিশন জেরেমি ওপ্রিটেসকো উপস্থিত ছিলেন।