করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্প কারখানা খোলার প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত মিল-কারখানা কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন সংরক্ষণ এবং ওষুধ শিল্প কারখানা বাদে সব শিল্প-কারখানা সরকারি-বেসরকারি অফিস বিধিনিষেধ অনুযায়ী বন্ধ থাকার কথা। শিল্প কল কারখানা খুলে থাকলে তা পর্যবেক্ষণ করছি, কারা খুলছে তা যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: বিনা বাধায় ফেরিতে যাত্রী আসছে পাটুরিয়াঘাটে
সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার বিষয়ে কোনো চিন্তা-ভাবনা এখন পর্যন্ত সরকারের নেই বলে জানান ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাস্তায় যখন মানুষ নামছে তখন বলছে তাদের চাকরিতে যেতে হচ্ছে, এটার সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করছি, তারা যেসব নাম বলছে সেগুলো চেক করার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুনঃ কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৩৮৩
কঠোর লকডাউন হওয়ার কথা থাকলেও সেটি মাঠে দেখা যাচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যেহেতু গার্মেন্টস ও রপ্তানিমুখী কল-কারখানাগুলো বন্ধ রেখেছি, লাখ লাখ শ্রমিক আসা-যাওয়া করত সেগুলো কমেছে, এগুলো ছাড়া আরও বিভিন্ন কারণ আছে যে কারণে মানুষ বাইরে আসছে অযৌক্তিক কারণে। বের হলে কিন্তু আইনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতাল থেকে শুরু করে জরুরি সেবার সঙ্গে মানুষ বাধাহীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে ।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কোনো নির্দেশনা দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ছড়িয়ে গিয়েছে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কঠিনভাবে তো প্রজ্ঞাপন জারি করেছি।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে ট্রলারে পিকনিক, খাবার গেল এতিমখানা মাদ্রাসায়
উল্লেখ্য করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ২৩ জুলাই থেকে বিধি-নিষেধ শুরু হয়েছে। এই বিধিনিষেধ থাকবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত ।