ঈদের ছুটি শেষে সরকারের আরোপিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানী ঢাকায় ৩৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার এ সময় ৪৪১ টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে ১৩৭ জনের কাছ থেকে ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
ট্র্যাফিক বিভাগ যানবাহনের কাছ থেকে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
শনিবার রাজধানীর রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা ছিল। কারণ এদিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো লকডাউন কার্যকরে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল।
নতুন করে দেয়া লকডাউনের প্রথম দিন শুক্রবারের তুলনায় শনিবার রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে কম সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাণিজ্যিক যানবাহন দেখা গেছে।
পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সেনা সদস্যদের রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের যানবাহন ও লোকজনের চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫৫০
ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার উত্তরা ও আবদুল্লাহপুর হয়ে দুরপাল্লার কয়েকটি বাস ও যানবাহনকে ঢাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলেও আমরা শনিবার কঠোরভাবে 'নো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করছি।’
ফলে ছুটির পর মহানগরীতে ফিরে আসা অনেককে আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, টঙ্গী, আমিন বাজার সেতু এবং বাবু বাজার সেতুসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পায়ে হেঁটে শহরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
তবে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবল অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি সেবা প্রদানকারীদের রাজধানীতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
কোনও বৈধ কারণ ছাড়াই রাস্তায় চলাচল করা কয়েকটি প্রাইভেট গাড়ি, মাইক্রোবাস এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক যানবাহনকে জরিমানা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৬২১
আমিন বাজার এলাকার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কিছু লোক চিকিৎসাপত্র দেখিয়ে শহরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু বেশিরভাগেরই কাগজপত্র পুরানো এবং মেয়াদোত্তীর্ণ।’
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মনন্ত্রালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফারহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, আগের লকডাউনের তুলনায় এবারের লকডাউন আরও কঠোর হবে। রাস্তায় পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের চতুর্থ দিনে গ্রেপ্তার ৬১৮, জরিমানা প্রায় ১৩ লাখ