স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকার দেশের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার ফি নির্ধারণ করবে এবং চিকিৎসার মানের ভিত্তিতে সেগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভায় তিনি বলেন, এসব বেসরকারি হাসপাতালকে তাদের সেবার মানের ওপর ভিত্তি করে এ,বি ও সি ক্যাটাগরি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতের পাঁচ তারকা হাসপাতালকেও এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোকে তাদের ক্যাটাগরির বাইরে গিয়ে জনবল ও সরঞ্জামের ক্ষমতার ভিত্তিতে চিকিৎসা দেয়ার অনুমতি থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘সরকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ওপর জোর দিচ্ছে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার নামে গ্রামে গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে ক্লিনিক ও হাসপাতাল স্থাপন ঠেকাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালের সেবার মান বাড়াতে হবে। কেবলমাত্র সে হাসপাতালগুলোই অস্ত্রোপচার করবে, যেগুলোর সক্ষমতা ও পর্যাপ্ত সরঞ্জাম রয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হলে মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবে না। বহু মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বাংলাদেশ হারাচ্ছে বিলিয়ন ডলার।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এছাড়া অনিবন্ধিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের ব্যাপারেও সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, পল্লী চিকিৎসকদের যাদের কোনো অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট নেই, তারা সেবা চালিয়ে যেতে পারেন না। গ্রামাঞ্চলের অনেক চিকিৎসক সবক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে লাইসেন্স বাতিল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সদস্য দেশগুলোকে তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী