ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় ‘মাদক কারবারি’দের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার সময় গোলাগুলির এই ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল ও উপপরিদর্শক (এসআই) রনি সোরে রানা।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩/৪ জন অজ্ঞাতকে আসামি করে একটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চার্জশিটভুক্ত আসামির মৃত্যু
পুলিশ জানায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামের মৃত সুধন মিয়ার ছেলে মাদক কারাবারি মন্নাফ (৫০) ওরফে মনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, হত্যা, ধর্ষণসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায় পুলিশ। কিছুদিন আগে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও মাদক বেচাকেনা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় সে।
তার ছেলে শিপন ডাকাতি ও মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তারা বাবা-ছেলে এলাকায় অবস্থান করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতেই নূরজাহানপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মনেককে আটক করে পুলিশ।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, আটক মনেককে ছাড়িয়ে নিতে তার ছেলে শিপন ও তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলি ছুঁড়ে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষা করতে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপি নেতা ও তার সহযোগী গুলিবিদ্ধ
তবে সন্ত্রাসী মহলটি দুই পুলিশ সদস্যকে গুলিবিদ্ধ করে মনেককে নিয়ে পালিয়ে যায়।
মাদককারবারিদের গুলিতে নবীনগর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল ও উপপরিদর্শক (এসআই) রনি সোরে রানা গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ রনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় একটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, মাদক কারাবারি ও ডাকাত মন্নাক ওরফে মনেক ও তার ছেলে শিপনসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে ব্যবসায়ী হত্যা: অভিযানে গ্রেপ্তার ৪, একজন গুলিবিদ্ধ, ৩ পুলিশ আহত