ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধসহ দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এসময় ২০টি বসত ঘর, ১৫টি দোকান, চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার তজুমদ্দিন থানায় একটি একটি মামলা করা হয়েছে এবং ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এসময় প্রতিপক্ষের গুলিতে কাদের পণ্ডিতের ছেলে নাজিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়।
এছাড়াও আব্বাস মোল্লা (৪৫), তারেকুর রহমান (৩২), মতিন (৩০), কামরুল ইসলামকে (২৮) আহত অবস্থায় তজুমদ্দিন হাসপাতালে আনা হয়।
জানা যায়, তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের এবং সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন গ্রুপের এবং সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভোলা-৩ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্যপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার গ্রুপের সমর্থক।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
তজুমদ্দিনের চাচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম হান্নান অভিযোগ করেন, রবিবার বিকালে চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহেরের নেতৃত্বে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার পাঁচ শতাধিক আওয়ামী লীগের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তার বসত ঘরসহ স্থানীয় ৭-৮টি ঘর ও ১৫টি দোকান ভাঙচুর চালানো হয়।
অন্যদিকে চাচড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের জানান, হান্নান চেয়ারম্যান তাদের লোকজনকে মারধর ও গুলি করেছেন। এতে যুবলীগ নেতা নাজিম গুলিবিদ্ধসহ তাদের পাঁচজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় তারা থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে তারা কারো ওপর হামলা করেননি।
তজুমদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান সাংবাদিকদের জানান, তিনি চাচড়া ইউনিয়নের ঘটনা শুনেছেন। সেখানে সাবেক চেয়ারম্যান হান্নান একজন ইউপি সদস্যকে তার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এছাড়াও ওই এলাকার আরেক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করেছে। এ ঘটনা নিয়ে সেখানে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে লালমোহনের ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের ঘটনা তার জানা নেই।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে কোনো হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তবে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এক পক্ষ একটি মারামারির মামলা করেছে। ওই মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে অপরপক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০