ভোলায় গরু চুরির অপবাদে এক যুবককে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটলেও ৪ দিন পর নির্যাতনের একটি ভিডিওচিত্র বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ তাদের আটক করে।
ভুক্তভোগী যুবকের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ফেনুয়া গ্রামে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জসিম খালাসি এবং তার সহযোগী জাহাঙ্গীর কান্টু।
দুই মিনিট ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী এক লোক ওই যুবকের ডান হাতে রশি দিয়ে বেঁধে বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে বেধরক মারধর করছে। এ সময় ওই যুবক চিৎকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বারবার তাকে ছেড়ে দেয়ার আকুতি জানান। এসময় সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ বেশ কয়েকজন কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধ নির্যাতিত যুবককে না বাঁচিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ভুক্তভোগী যুবক সাংবাদিকদের জানান, বালুর বাল্কহেডের কাজ করার জন্য গত সোমবার তিনি বরিশালের শ্রীপুর থেকে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে আসেন। সকাল ৭টা দিকে তিনি বান্দের পাড় এলাকায় নাস্তা করছিলেন। এ সময় পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম খালাসি পরিচয়ে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই যুবককে প্রথমে পানির পাম্প চুরির অভিযোগে চড়-থাপ্পর মারে। পরে কান্টু নামে অপর এক ব্যক্তি চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করে।
পরে ওই দিন দুপুরে ভুক্তভোগী যুবকের পরিবার ও বরিশালের শ্রীপুর এলাকার ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ হাজার টাকা ও মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম খালাসির একুটি সেচ পাম্প চুরির ঘটনায় তিনি ভোলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু কোন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, চুরির অভিযোগে নির্যাতনের ঘটনায় আমরা পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম খালাসি ও জাহাঙ্গীর কান্টু নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।