আর সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এবং প্যাকেজ-২ ব্যবহারের জন্য হজযাত্রীদের ব্যয় করতে হবে যথাক্রমে ৪ লাখ ২৫ হাজার এবং ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে সাড়ে ৬ এবং ১৬ হাজার টাকা বেশি। গত বছর প্যাকেজ-৩ ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মসজিদুল হারাম থেকে ৭০০ মিটার মধ্যে থাকতে প্রথম প্যাকেজ, দেড় হাজার মিটারের মধ্যে থাকতে দ্বিতীয় প্যাকেজ এবং তার বাইরে হলে তৃতীয় প্যাকেজের টাকা দিতে হবে।
সচিব আরও জানান, এবার হজফ্লাইট পরিচালনায় বিমান বাংলাদেশ ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্সকে ঠিক করা হয়েছে। তবে সৌদি আরবের নাছ এয়ার নিয়েও আলোচনা চলছে।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩০ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত ৪ ডিসেম্বর মক্কায় বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের মধ্যে এ বছরের দ্বিপক্ষীয় হজচুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশ থেকে এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জনসহ সর্বমোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমনের সুযোগ পাবেন।
হজযাত্রীর বিমান ভাড়া, সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, মুয়াল্লিম ফি, জমজমের পানি, খাবার খরচ এবং অন্যান্য ফি হিসাব করে সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য তিনটি প্যাকেজ ঘোষণার পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সিগুলোর জন্য একটি প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। এছাড়া, বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো সরকারি তিন প্যাকেজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।
এ বছর রুট টু মক্কা উদ্যোগের অধীন শতভাগ হজযাত্রীর সৌদি আরবের প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রত্যেক হজ এজেন্সি কমপক্ষে ১০০ এবং সর্বোচ্চ ৩০০ হজযাত্রী প্রেরণ করতে পারবে। হজ এজেন্সি ব্যতিত অন্য কোনো এজেন্সিকে হজযাত্রীর টিকিট বিক্রয়ের জন্য দেয়া যাবে না।
হজযাত্রীদের কুরবানি বাবদ ব্যয়ের অর্থ ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করার জন্য সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ জন্য হজযাত্রীকে প্যাকেজ মূল্যের অতিরিক্ত ৫২৫ সৌদি রিয়ালের সমপরিমাণ ১২ হাজার ৭৫ টাকা সাথে নিতে হবে।