মহাসড়কে থেকে ইজিবাইক অপসারণের আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ সংশোধন করে সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও মনিরুজ্জামান আসাদ।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর বাঘ ইকো মটর্সের সভাপতি কাজী জসিমুল ইসলামের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে অবৈধ ইজিবাইক চিহ্নিত ও সড়ক থেকে তা অপসারণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আটজন। গতকাল তাদের আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশের সড়ক শব্দটি সংশোধন করে মহাসড়ক যুক্ত করেন। পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে এ বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।
আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, অসৎ উদ্দেশ্যে একটি রিট করা হয়েছিল বাংলাদেশের সকল রাস্তা থেকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক সরিয়ে নেয়ার জন্য। আজ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করেছে। আপিল বিভাগ বলেছেন, এটা শুধু মহাসড়কে চলবে না। অন্য রাস্তায় চলতে পারবে। আমরা মনে করি এটা একটা ভালো রায় হয়েছে।
ইজিবাইক নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ১৩ ডিসেম্বর রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট অবৈধ ইজিবাইক চিহ্নিত করে তা সড়ক থেকে অপসারণের নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের রুলে অবৈধ থ্রি হুইলার ইজিবাইক আমদানি থেকে বিরত থাকার এবং এর নির্মাণ (কনস্ট্রাকশন) বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিস্ত্রীয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চান। শিল্প সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, বিআরটিএ, এনবিআর ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন: এসিড সমৃদ্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের