মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে সোমবার স্থায়ী জামিন দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীর জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার ৭ নম্বর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার একটি অস্ত্র মামলা ও মানি লন্ডারিং মামলায় জামিন পান সম্রাট।
তবে সম্রাটের আইনজীবী বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় জামিন না পাওয়ায় সম্রাট জেল থেকে বের হতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট
গত বছরের ২৪ নভেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সম্রাট।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া জব্দ করা হয়।
চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।
৭ অক্টোবর র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে একমাত্র আসামি করা হয়। মাদক মামলায় সম্রাট ও আরমানকে আসামি করা হয়। এরপর সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও দুদক মামলা করে।
২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক।
২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের এসআই রাশেদুর রহমান।
আরও পড়ুন: সম্রাট কেন জেলে? পাঁচ তারা জেল চাই!