মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় অভিনেত্রী পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম এ অভিযোগ গঠন করেন এবং মামলার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
এছাড়া আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলার সাক্ষাগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এ সময় পরীমণি ও মামলার অপর দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুই আসামি হলেন-আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
এর আগে ২ জানুয়ারি, একই আদালত এই মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কি না তা নিয়ে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পিছিয়েছে আদালত
মামলায় পরীমণিসহ দু’জন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
গত বছরের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত বছরের ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকালে পরীমণি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় জামিন পেলেন পরীমণি
এরপর র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমণিকে আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড ও পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমণি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমণি এ পর্যন্ত ৩০টি চলচ্চিত্র ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমণিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি