ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম গতিশীল অর্থনীতির দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে বৃহত্তর আসিয়ান বাজারের কেন্দ্র হিসেবে মালয়েশিয়াকে ব্যবহার করতে পারে বাংলাদেশ।
ঢাকায় কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের তিনি বলেন, ‘এফটিএ আপনাদের কাছে বাজারে প্রবেশের সুবিধা দেয়। আপনাদের খুব চ্যালেঞ্জিং বাজারে খুব প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। এফটিএ এমন একটি মাধ্যম, যা বিশেষ ব্যবস্থার সুযোগ করে দেয়।’
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া দুই আঞ্চলিক দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সম্মত হয়েছে।
মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে বর্ণনা করে বাংলাদেশ।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠার এবং মালয়েশিয়ার মাধ্যমে আসিয়ান বাজারকে বেছে নেওয়ার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মালয়েশিয়ার আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন হলো দু'দেশের মধ্যে বর্তমান সহযোগিতা।
হাইকমিশনার মালয়েশিয়াকে দেওয়া সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে সহযোগিতার আরও দুটি ক্ষেত্র শিক্ষা খাত ও স্বাস্থ্যসেবা (মেডিকেল ট্যুরিজম)খাত নিয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার হাজনাহ।
শিক্ষা খাতের সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যের সঙ্গে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কোনো সংকট নেই, নারী শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
আরও পড়ুন: আইসিআরসি: মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখাই জেনেভা কনভেনশনের ৭৫ বছরের অর্জন
স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে হাইকমিশনার বলেন, তারা সাশ্রয়ী মূল্যে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা দেয়, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় সাশ্রয়ী।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান ও ব্যয়ের বিষয়ে সরকারের জোরালো নজরদারি রয়েছে এবং এর সুবিধা নিতে বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ় এবং তার দেশই প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম মুসলিম দেশ।
তিনি বলেন, আমরা পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সব মুসলিম দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখি।
হাইকমিশনার ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের কথা স্মরণ করেন, যা সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি।
ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং আলোচনা আয়োজনের জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া বদ্ধপরিকর: হাইকমিশনার