এর আগে দুপুরের দিকে মেঘনা নদীতে ডুবোচরে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে যায়।
হাতিয়া নৌ-পুলিশ সন্ধ্যা নাগাদ জেলে ও স্থানীয়দের সহায়তায় লাশগুলো উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার পর বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতার কেটে কুলে উঠতে পারলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় লঞ্চ ডাকাতি, যাত্রীদের সর্বস্ব লুট
আরও পড়ুন: হাতিয়ায় ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ ২ জেলের লাশ উদ্ধার
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (তদন্ত) কাঞ্চনকান্তি দাস জানান, উপজেলার হরনি ইউনিয়নের তানারহাট এলাকা থেকে মনপুরার কলাতলির উদ্দেশে ট্রলারটি বেলা ১১টার দিকে বিয়ের যাত্রী এবং অপর কয়েকজনকে নিয়ে যাত্রা করে। পথে দুপুর ১টার দিকে হাতিয়ার সীমানায় মেঘনা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে ডুবোচরের সাথে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
নদীতে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলারের জেলেরা এ সময় ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসেন। সেই সাথে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও হাতিয়া নৌ-পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালায়।
পুলিশ জানায়, সাতজনের লাশ এবং দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি উদ্ধার করে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘটে নিয়ে আসা হয়েছে। আর কোনো যাত্রী নিখোঁজ বা সবাই উদ্ধার হয়েছেন কি না তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পশুর নদীতে ট্যুরিস্ট লঞ্চডুবি
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যায় নৌকাডুবিতে ২ জনের মৃত্যু
আরও পড়ুন: ইলিশ শিকারের দায়ে মেঘনা থেকে ১২ জেলে আটক
নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌপথে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এক নিয়মিত ঘটনা। গত ৬ ডিসেম্বর রাতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে জাজিরার কাছে ড্রেজারের ধাক্কায় ২১টি গাড়ি থাকা ডাম্ব ফেরি রাণীগঞ্জের তলা ফেটে ডুবে যায়। কিন্তু তার আগেই ফেরিটি তীরে পৌঁছে গাড়ি ও যাত্রীদের নামিয়ে দিতে সক্ষম হয়। তার আগে গত ৪ ডিসেম্বর সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টে যাওয়ার পথে ট্যুরিস্ট লঞ্চ ডিসকভারি বটিয়াঘাটার কাতিয়ানংলা এলাকায় ডুবোচরে আটকে পশুর নদীতে ডুবে যায়। এ সময় যাত্রীরা দ্রুত চরের কাদা পানিতে নেমে যান। ফলে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে এক সংস্থার ৫ ডিসেম্বরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে চারটি নৌ-দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও আটজন আহত হন।