যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে বৃহস্পতিবার সকালে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে গিয়ে পোশাক দেখে লাশ শনাক্ত করেন নিহতের ভাই শরিফুল ইসলাম।
নিহত ফাহিমা বেগম (৩৫) সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সাত পাখিয়া গ্রামের আনছার আলীর মেয়ে ও জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী। তিনি ইট ভাটার শ্রমিক ছিলেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে লঞ্চ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
নিহতের ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার বোনের দুইটি মেয়ে। বড়টির বিয়ে হয়েছে আর ছোটটি আমাদের সাথে থাকতো। আমার বোন ফাহিমা ও ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর হোসেন দু’জন মিলে যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর দফাদার ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজ করতো। তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহের কারণে ফাহিমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো জাহাঙ্গীর।
গত ১৫ ডিসেম্বর বোন ফাহিমাকে নিয়ে বাড়ি থেকে ভাটায় কাজ করতে আসে জাহাঙ্গীর। এরপরে আর বোনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীরের কাছে বোনের কথা জানতে চাইলে এলোমেলো কথা বলায় আমি তালা থানায় একটি অভিযোগ করি। পুলিশ ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীরকে আটক করে আবার ছেড়ে দেয়। এরপর থেকে আর বোনের কোনো সন্ধান পাচ্ছিলাম না। বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে যশোরে এসে বোনের পরিহিত কাপড় দেখে চিনতে পারি। এ দিকে বেশ কয়েকেদিন থেকে জাহাঙ্গীরও নিরুদ্দেশ।
আরও পড়ুন: নাটোরে নিখোঁজের ৪ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নরেন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সুপ্রভাত মন্ডল বলেন, নিহতের পরিচয় মিলেছে। তার ভাই শরিফুল দাবি করছেন এটা তার বোন ফাহিমার লাশ।