অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও শিল্পায়নের জন্য সারাদেশে যোগাযোগ উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা সারাদেশে সড়ক ও সেতু নির্মাণের মাধ্যমে একটি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। এছাড়া আমরা নদীগুলো ড্রেজিং ও পুনরুজ্জীবিত করছি… আমরা রেল সেবা পুনরুজ্জীবিত করছি (বিভিন্ন রুটে) এবং নতুন রেল লাইন নির্মাণ করছি।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে ৪৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্যার্ত মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে প্রায় ৩০৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস ব্যাংকগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিদের কাছ থেকে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন, তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, একটি শক্তিশালী যোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়নের গতি, শিল্পায়ন ও ব্যবসা ত্বরান্বিত করার বিশাল সুযোগ তৈরি করে। ‘আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।’
সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সেতুটি ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্য বদলে দেবে।
তিনি বলেন, ‘বিশাল দক্ষিণাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। কিন্তু এ অঞ্চলে শিল্পায়নের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেতুটি দক্ষিণাঞ্চলের স্থানীয় কৃষিপণ্য বিপণনের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং এ অঞ্চলের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ সাহস ও সহযোগিতার মাধ্যমে তার পাশে থাকায় বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। ‘আমার দেশের জনগণই আমার বড় শক্তি।’
চাহিদা মূল্যায়নের মাধ্যমে ফসল ও পণ্যের স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধানের ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে কুয়েতের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের জনগণের বিশেষ করে গ্রামীণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় বাজারের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
দেশে করোনার নতুন ঢেউয়ের প্রেক্ষিতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে, বিশেষ করে মাস্ক পরতে, সকলের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষকে অনুদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সহায়তা বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।