রাজধানীর পল্লবীতে স্কুলছাত্র মেহেদী হাসান হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-ফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, ইমরান ও রাশিদ।
গত ১১ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
মামলাসূত্রে জানা যায়, মেহেদী হাসানের বাবা হাজী মো. মোশারফ হোসেন ঢালী পল্লবীর নিউ সোসাইটি মার্কেটে থান কাপড়ের ব্যবসা করেন। নান্নু ও শাহিনুর স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বাসার পাশেই মোশারফ হোসেনের বাসা। স্থানীয় অন্যান্য লোকজনসহ মো. মোশারফ হোসেন মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন।
আরও পড়ুন: ছেলের বউকে ধর্ষণ: শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওলি মোশারফ হোসেনের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানকে ডেকে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যান। মেহেদীর ভাগ্নে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানান। সংবাদ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, মেহেদী অজ্ঞান অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। চিকিৎসার জন্য তাকে মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোশারফ হোসেন ১ অক্টোবর পল্লবী থানায় মামলা করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে মারধর করে হত্যা করেছে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১২ জুন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান।
১৯ সালের ১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার শুরু করা হয়।
বিচার চলাকালে আদালত ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় কৃষককে গুলি করে হত্যা: ২১ জনের যাবজ্জীবন
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন