রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রাসকে সমবেদনা জানিয়ে বৃহস্পতিবার একটি চিঠি লিখেছেন।
এতে আরও বলা হয়, চিঠিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনার মাধ্যমে মহান রানি এলিজাবেথ দ্য সেকেন্ডের আকস্মিক মৃত্যুতে যুক্তরাজ্যের জনগণের প্রতি আমাদের আন্তরিক সহানুভূতি ও সমবেদনা জানাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের আন্তরিক ভাবনা ও প্রার্থনা শোকাহত রাজপরিবারের সদস্য ও যুক্তরাজ্যের শোকাহত জনগণের সঙ্গে রয়েছে এবং আমরা মহান রানির বিদেহী আত্মার চির শান্তি ও মুক্তির জন্য প্রার্থনা করছি।’
তিনি উল্লেখ করেছেন যে মহান্ রানি শুধুমাত্র ২.৫ বিলিয়ন কমনওয়েলথ জনগণের স্তম্ভ ও শক্তিই ছিলেন না বরং তিনি করুণা, মর্যাদা, প্রজ্ঞা ও সেবার প্রতীকও ছিলেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বের সমসাময়িক ইতিহাসে সবচেয়ে কিংবদন্তী এবং দীর্ঘ সময় রাজত্বকারী রাজা হিসেবে মহান রানি কর্তব্য, সেবা ও ত্যাগের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন এবং বিশ্বজুড়ে তার অগণিত মানুষের কাছে উৎসর্গের একটি অতুলনীয় উত্তরাধিকার রেখে গেছেন।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন যে মহান রানি আমাদের নাগরিকদের জন্য অনুপ্রেরণা, সাহস ও শক্তির এক অসাধারণ উৎস হয়ে থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে মহান রানি ও আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকথা এবং অটোয়া ও কিংস্টনে দুই কমনওয়েলথ সরকার প্রধানের বৈঠক চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি লন্ডনে ২০১৮ সালের সিএইওবিএম-এ আমাদের শেষ ব্যক্তিগত আলাপচারিতার প্রশংসা করি।’
তিনি উল্লেখ করেন যে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের জনগণের জন্য মহান রানির অভিনন্দনের সবচেয়ে আবেগপূর্ণ বার্তাটি ছিল- ‘আমরা বন্ধুত্ব ও স্নেহের বন্ধন ভাগ করি, যা আমাদের অংশীদারিত্বের ভিত্তি হিসেবে রয়ে গেছে এবং পঞ্চাশ বছর আগের মতো এটি আজও গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম
তিনি আরও বলেন, ‘তার দুঃখজনক মৃত্যুতে বাংলাদেশের মানুষ এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে শুধু একজন বিশ্বস্ত বন্ধুকেই হারালাম না, একজন প্রকৃত অভিভাবককেও হারালাম।’
শেখ হাসিনা সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার জন্য রাজপরিবারের সদস্য ও যুক্তরাজ্যের জনগণ, রাজ্য এবং কমনওয়েলথের সদস্যদের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
আরও পড়ুন: রানির মৃত্যু: অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও দাফন