ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই নেতা এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে তার হলরুম থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্র মাহতাব উদ্দিন হলের প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন রাবি শামসুজ্জোহা হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম ও রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার শাহরিয়ার সৌরভ। তারা দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সমর্থক।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ
লিখিত অভিযোগ মাহতাব বলেন, ‘আমাকে হলের প্রভোস্ট কর্তৃক ৩২৬ নং কক্ষে পুনরায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম আমাকে জোর করে রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এবং বিছানা অন্যত্র ফেলে দেয়। রুম থেকে বের না হলে আমাকে মারধরের হুমকি দেয়। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
তবে ছাত্রলীগ নেতা মমিন ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেন। তাকে কেউ টেনে বের করেনি বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, প্রভোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে।
শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রভোস্ট ইকরামুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি মাহতাবকে ৩২৬ থেকে ১৫৪ নম্বর কক্ষে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি বুধবার থেকে সেখানে অবস্থান করছেন।
তিনি আরও বলেন,‘যেহেতু মাহতাবকে রুমটি বরাদ্দ করা হয়েছিল, সে সেই কক্ষে থাকবে এবং আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে মাহতাবকে ওই আসনে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করছি।’
আরও পড়ুন: রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা