নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিকদের ৫০ হাজার টাকা করে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। শনিবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে এই সহায়তা দেয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন শ্রমিকের হাতে চিকিৎসা সহায়তার ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
আরও পড়ুনঃ রূপগঞ্জে আগুনে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢামেক এবং রূপগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীনসহ আহত মোট ২২জন শ্রমিককে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে ৫০ হাজার করে মোট ১১ লাখ টাকা এবং নিহত যে তিনজন শ্রমিকের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে তাদের প্রত্যেক পরিবারের জন্য ২ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
পরিচয় নিশ্চিত হওয়া তিনজনের মৃত্যু জনিত সহায়তার চেক আগামীকাল তাদের স্বজনদের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে। এছাড়া বিকেলে রূপগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাতজনকে চিকিৎসা সহায়তার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন শ্রমিকদের চেক হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের সামনে শ্রম সচিব বলেন, নিহত শ্রমিকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে ২ লাখ টাকা করে তাদের স্বজনদের মৃত্যুজনিত সহায়তা প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে আগুনে ৫২ জনের প্রাণহানিতে ভারতের শোক
দুর্ঘটনাকবলিত জুস কারখানায় শিশু শ্রমের অভিযোগ সম্পর্কে সচিব বলেন, কারখানা পরিদর্শন ব্যবস্থায় আমাদের নিজস্ব একটি পদ্ধতি রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্রমিকদের বিনামূল্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখানে চিকিৎসাধীন সব শ্রমিক ঝুঁকিমুক্ত এবং ভালো আছেন।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে আগুন: সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ আটজন চারদিনের রিমান্ডে
চেক প্রদানকালে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচাক গৌতম কুমারসহ শ্রম মন্ত্রণালয় এবং দুটি অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।