শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনতে দ্রুত তদন্তের দাবি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নেতৃত্বদানকারী মুহিবুল্লাহ (৪৬),গতকাল রাতে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে তার কার্যালয়ে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন,শীর্ষস্থানীয় রোহিঙ্গা কর্মীর হত্যাকাণ্ড বিশ্বের সমগ্র সম্প্রদায়ের মাঝে নাড়া দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের গভীর শোক
হাম্মাদি বলেন,আমরা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে শরণার্থী,নাগরিক সমাজকর্মী,রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের মানবাধিকার কর্মীসহ শিবিরগুলোতে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করুন,যাদের মধ্যে অনেকেই তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে সহিংসতা একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা
তিনি বলেন,মাদকের কার্টেল পরিচালনাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মানুষকে হত্যা করেছে এবং জিম্মি করেছে। আরও রক্তপাত রোধে কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মুহিবুল্লাহ ২০১৯ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
হাম্মাদি বলেন, মহিব উল্লাহ রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একজন প্রধান প্রতিনিধি ছিলেন, যিনি ক্যাম্পে সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং মানবাধিকার ও শরণার্থীদের সুরক্ষার পক্ষে কথা বলেছিলেন।
তিনি মিয়ানমারের সামরিক শাসকের হাতে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্যও প্রচারণা চালিয়েছিলেন।