বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে এ অঞ্চলের শান্তি ও প্রগতির পথে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে।’
রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে থাইল্যান্ডের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদে এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
থাইল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডের সাথে সুদীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে থাইল্যান্ড বাংলাদেশেকে সহযোগিতা করে আসছে।
এসময় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির জন্য দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরদারের সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এ বছর এলডিসি গ্রাজুয়েশনের মাইলফলক অর্জন করেছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে রূপান্তর করা।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর-কনে পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আটক ২
করোনা মহামারিকালীন থাই সরকারের সহায়তার কথা স্মরণ করে সাধন চন্দ্র বলেন, সমন্বিত উদ্যোগ করোনার মত মহামারিকে পরাজিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতা এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য থাই সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে উন্নত রেল, সড়ক, সামুদ্রিক ও বিমান যোগাযোগ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আরও অবদান রাখবে।
এসময় তিনি দুদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের ওপর জোর দেন এবং থাইল্যান্ডের জনগণকে জাতীয় দিবসে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিজ মাকাওয়াদি সুমিটমোর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ দুটি রাষ্ট্রই নিজেদের জনগণের কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে বিগত পাঁচ দশক ধরে উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে আসছে। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দেবে: মিয়া সেপ্পো