বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার আলোচনা শুরু হওয়াকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আদিস্থানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য ঢাকার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সম্প্রতি বিভিন্ন পর্যায়ে তিনটি বৈঠক হয়েছে জানিয়ে মোমনে বলেন, ‘এটা ভালো খবর যে তারা (মিয়ানমার) আলোচনা শুরু করেছে।’
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় মোমেন বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বায়োমেট্রিক ডেটা সম্বলিত আট লাখ ৩০ লাখ ব্যক্তির তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু তারা মাত্র ৫৮ হাজার জনের তথ্য যাচাই করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়; তবে তার জন্য এখনো কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা: প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে নেপিদোকে আহ্বান ঢাকার
মোমেন বলেন, মঙ্গলবার উভয় পক্ষের মধ্যে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশ সেখানে যাচাইকরণ প্রক্রিয়া (রোহিঙ্গাদের পরিচয়) ত্বরান্বিত করার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করার ওপর জোর দিয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত সকল বিষয়ে ‘মূল আলোচনা’ করেছে।
ভার্চুয়াল এ বৈঠকে বাংলাদেশ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণের বিশাল বোঝা কমাতে, প্রত্যাবর্তনকারীদের তথ্য দ্রুত যাচাইকরণ এবং তাদের নিরাপত্তা, জীবিকা ও সুস্থতার জন্য প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।
বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) পঞ্চম বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব চান আয়ে নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পর পাঁচ বছর কেটে গেছে। তবে এতদিনেও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি অপূর্ণ রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ জানিয়েছে, এতদিনেও একজন রোহিঙ্গাও দেশে ফিরতে পারেনি।
দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করতে যাচাইকরণ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান এবং জেডব্লিউজি ও কারিগরি ওয়ার্কিং গ্রুপের নিয়মিত সভা আয়োজনের বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার