বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার প্রথম সরকারি সফরে এসে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে জাপানের কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

এ সংক্রান্ত তৎপরতা চলমান দেখে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এটাই তার প্রথম সফর এবং বর্তমান পরিস্থিতি তিনি নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্বাগতিক বাংলাদেশিদের প্রতি আমার ধারণা এবং সহানুভূতি জানাতে চাই। এছাড়াও শরণার্থীদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ সংস্থা এবং এনজিওগুলোর অক্লান্ত পরিশ্রম দেখে আমি মুগ্ধ। আমি তাদের জন্য ক্রমাগত সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছি, আমরা তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হব।’

তার ১৮ থেকে ১৯ জানুয়ারি সফরের সময়, রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা ইউএনএইচসিআর-এর একটি নিবন্ধন কেন্দ্র এবং একটি কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন, যেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জাপানি কোম্পানি ফাস্ট রিটেইলিং (ইউএনআইকিউএলও) এবং ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএফপি-এর একটি ই-ভাউচার আউটলেটের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি কিট তৈরি করে। ইউনিসেফের একটি শিক্ষাকেন্দ্র, আইওএম-এর একটি সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্র, ইউএনএফপিএ’র একটি মহিলা নেতৃত্বাধীন কমিউনিটি সেন্টার এবং জাপান ও বাংলাদেশ রেড ক্রসের একটি স্বাস্থ্য পোস্টও পরিদর্শন করেন তিনি।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের শীতবস্ত্র উপহার ইরানের

তিনি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

মিয়ানমার থেকে ২০১৭ সালের আগস্টে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা আগমনের পর থেকে, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এনজিওগুলোর মাধ্যমে কক্সবাজারের পাশাপাশি ভাসান চরে বিভিন্ন সহযোগিতামূলক ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়ে অবদান রেখেছে জাপান।

এর মধ্যে খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, পানি স্যানিটেশন স্বাস্থ্যবিধি(ওয়াশ), আশ্রয়, সুরক্ষা এবং লিঙ্গভিত্তিক সহায়তা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ঢাকায় জাপানি দূতাবাস জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি সংকটটি ষষ্ঠ বছরে পার করেছে, যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা অপরিহার্য।

আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত’