দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার আশা প্রকাশ করে ঢাকায় একটি আবাসিক পর্তুগিজ মিশন প্রতিষ্ঠার কথা বিবেচনা করতে পর্তুগিজ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ঢাকায় সব ধরনের ভিসার আবেদন গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পর্যায়ক্রমিক কনস্যুলার সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
পর্তুগাল ও কেনিয়ার যৌথ আয়োজনে ২য় জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলন ২০২২ এর সাইডলাইনে শুক্রবার লিসবনে পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জোয়াও গোমেস ক্রাভিনহোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: কলম্বো বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজের জন্য অগ্রাধিকারমূলক নোঙ্গরের সুবিধা
এটি ছিল পররাষ্ট্র পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, বাংলাদেশ ১০ বছর ধরে লিসবনে একটি আবাসিক বাংলাদেশ দূতাবাস চালু রেখেছে এবং সম্প্রতি দূতাবাসের স্থায়ী অবস্থানের জন্য লিসবনে সম্পত্তি ক্রয় করেছে।
পর্তুগিজের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তার সরকারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং পরামর্শগুলো আমলে নিয়েছেন।
তিনি পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের পর্তুগিজ অর্থনীতিতে অবদানের প্রশংসা করার পাশাপাশি পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ড-বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর: পানির গল্প নিয়ে ‘বই’ উন্মোচন
উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় স্তরে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ, সমুদ্র অর্থনীতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
দুই মন্ত্রী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এ সময় ড. মোমেন বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পর্তুগাল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যকর ভূমিকার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: লিসবনে জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী