নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শপথ গ্রহণ করেছেন।
রবিবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
এ সময় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নতুন সিইসি হিসেবে নিয়োগ
এর আগে শনিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান (অব.), সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, সাবেক জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও সাবেক জ্যৈষ্ঠ সচিব আনিছুর রহমানকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন।
সংবিধানের সঙ্গে মিল রেখে প্রথমবারের মতো কোনো আইনের অধীনে সদ্য গঠিত এ নির্বাচন কমিশন সোমবার দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে এর আগের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম গ্রহণ রাষ্ট্রপতির
কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে অবসরে যান।
এর আগের দুই নির্বাচন কমিশনের মতো নতুন কমিশনও সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত হয়।
আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত সার্চ কমিটি সিইসি ও ইসি নিয়োগের জন্য ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেন। সার্চ কমিটি প্রতি পদে দুজনের নাম প্রস্তাব করে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ নামের তালিকা গ্রহণ করেন।
এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নাম চায় সার্চ কমিটি। কিন্তু বিএনপি ও অন্য কয়েকটি দল কোনো নাম দেয়নি।
আরও পড়ুন: নতুন ইসি কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না: বিএনপি
এছাড়া এ বিষয়ে সার্চ কমিটি বিশিষ্ট নাগরিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করে।
কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বে সদ্য গঠিত নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের চ্যালেঞ্জের সামনে পড়বে। নির্বাচনটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে হওয়ার কথা রয়েছে।
বর্তমান সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে। তবে সাধারণ নির্বাচন সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে আয়োজন করতে হয়।