প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকে গণভবন থেকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপীয় দেশগুলোতে এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। এই দিক থেকে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় খুলে দিতে পারি কিনা তা আলোচনায় ও চিন্তাভাবনা করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে নিয়ে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। কবে কখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে সে বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু ২৪ মে
দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস, অন্যদের সপ্তাহে একদিন
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরা আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে পরামর্শদাতা, বিশেষজ্ঞ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সাথে আলোচনায় বসব।’
সভায় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য প্রথমে টিকা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। পরবর্তীতে সেই ছুটি কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর সর্বশেষ তা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এদিকে, আগামী ২৪ মে থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্তের কথা জাানিয়েছে সরকার। সেই সাথে ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খুলে দেয়ারও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের অনেক দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। আমাদেরও গত ১৭ মার্চ থেকে সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া না হলেও দেশের সকল পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আগামী ২৪ মে থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণির ক্লাস কার্যক্রম শুরু করা হবে। এর আগে ১৭ মে থেকে সকল আবাসিক হলগুলো খোলা হবে, বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষা যথাযথভাবে শিখতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সংস্কার কাজ করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের করোনা টিকা প্রদান নিশ্চিত করা হবে। টিকা প্রদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি ক্লাস শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে তাদের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।