সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার তদন্তের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
শুক্রবার ডিআরইউ সদস্য সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে আগামী রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলে জানান সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান আর্টিকেল ১৯’র
ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, আমরা একই দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি দেব।
গত ১০ বছরে ৮৫ বার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পরিবর্তন করায় হতাশা প্রকাশ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘তদন্ত প্রক্রিয়ায় পুলিশের ওপর আমাদের আস্থা নেই।’
তারা বলেন, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তারা বারবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’
এছাড়া অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, ডিআরইউর সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৮৫ বার পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজনে বৃহস্পতিবার রাতে ডিআরইউ চত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক দম্পতির একমাত্র সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘ ও রুনির ভাই নওশের রোমান।
মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজার এলাকায় তাদের নিজ অ্যাপার্টমেন্টে হত্যা করা হয়।