বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, সামরিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতাই বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্কের ভিত্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যহারে অগ্রগতি অর্জন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, আধিপত্য বিস্তার, সম্প্রসারণ বা প্রভাব বিস্তার করা চীনের নীতিতে নেই।
রাষ্ট্রদূত বক্তব্যে বলেন, ‘দুই দেশের নেতারা যে ঐকমত্যে পৌঁছেছে, তা সক্রিয়ভাবে বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক চীন।’
বুধবার বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের আমন্ত্রণে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও
লেকচারে এনডিসির কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. আকবর হোসেনসহ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৭০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা এবং বিদেশি সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভকে অগ্রাধিকার দেয় এবং একটি নিরাপত্তা ধারণা প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন করে। যা একটি সাধারণ, ব্যাপক, সহযোগিতামূলক ও টেকসই পদ্ধতির উপর জোর দেয়।
আরও পড়ুন: ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে এজেন্ডাগুলোর অগ্রগতির আশা করছে রাশিয়া ও চীন
সামরিক পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, চীন একটি জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি অনুসরণ করে যা প্রকৃতিগতভাবে প্রতিরক্ষামূলক।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন নিজের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার সময় পারস্পরিক ভবিষ্যতের আলোকে একটি বৈশ্বিক সম্প্রদায় গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ দুই সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন স্তরে বিনিময় আরও জোরদার করতে ইচ্ছুক। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা শিল্প ও সহযোগিতা আরও গভীর করা, বাণিজ্য, প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি, নৌবাহিনীর জাহাজের পারস্পরিক পরিদর্শন এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহযোগিতা করতেও ইচ্ছুক চীন।
বক্তব্যের শেষে রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীন-মার্কিন সম্পর্ক, চীন-ভারত সম্পর্ক, ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল’, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ উদ্যোগের আওতায় চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার বিষয়ে খোলামেলা বন্ধুত্বপূর্ণ মতবিনিময় করেন। তাইওয়ান প্রশ্ন এবং দক্ষিণ চীন সাগর নিয়েও কথা বলেন তিনি।