প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপন বাতিল করে দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চা বাগানের শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার সিলেটের আমতলায় এই বিক্ষোভ করে চা শ্রমিকরা।
চলতি আগস্টের ১০ তারিখ সরকারের প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদে তারা এই বিক্ষোভ করেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি এবং সুবিধাগুলোর মধ্যে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
চা শ্রমিকদের ১০-দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক এসএম শুভ বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনে চা-শ্রমিকের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বাগান মালিকের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, মৌলভীবাজারে সড়ক অবরোধ
তিনি অবিলম্বে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন বাতিল করে দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান।
কমিটি জানিয়ে দেয় যে এই দাবিগুলো যদি সুরাহা না হয়, অন্যথায় চা-শ্রমিকরা আন্দোলনের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করবে।
কমিটির আহ্বায়ক সবুজ তাঁতী তার বক্তব্যে বলেন, চা-শ্রমিকদের স্বার্থের পরিবর্তে সরকার আজ মালিকের স্বার্থ রক্ষা করছেন। চা-শ্রমিকদের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বাঁচতে হলে চা-শ্রমিকের আজ লড়াই করেই বাঁচতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই চা-শ্রমিকদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: কাজে ফিরেছেন চা শ্রমিকরা
সেখানে কমিটি সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শ্রমমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করে।
১০-দফা বাস্তাবায়ন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা- শ্রীবাস মাহালি, সমন্বয়কারী এস এম শুভ, বুরজান চা কারখানার পঞ্চায়েত সভাপতি বিলাস ব্যানার্জি এবং খাদিম চা সহ চা শ্রমিক সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সমাবেশে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
র্যালিতে অন্যান্য ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ করেন বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমল নায়েক, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান শামীম, শিক্ষক বিকাশ বাউরি, বুরজান চা কারখানা পঞ্চায়েত কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুশান্ত চাষা, পাশাপাশি চা শ্রমিক নেতা অনিতা বসাক, কুমকুম, নায়েক, ও মধু ভূমিজ।