সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার নোয়াখালি বাজারের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নগরের বাদামবাগিচা এলাকার বাসিন্দা মিশু ও গোয়াইপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনা।
বৃহস্পতিবার র্যাব-৯ এর গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি আফসান আল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, এরা দুজন কামাল হত্যা মামলার যথাক্রমে ৪ ও ৬ নাম্বার আসামি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই হত্যা মামলার আরেক আসামি কুটি মিয়াকে গ্রেপ্তার করে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।
গত রবিবার রাতে নগরের বড়বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন কামাল।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধে কামাল খুন হয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত কামালের বড় ভাই ময়নুল হক হত্যা মামলা করেন। মামলায় আজিজুর রহমান ওরফে সম্রাটকে (৩৫) প্রধান করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজাহারে মইনুল হক অভিযোগ করেন, আম্বরখানার মান্নান সুপার মার্কেটে তাদের ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে লাহিন আহমদের 'লাহিন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস' নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর আসামিরা এসে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়। এ খবর পেয়ে কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের ভাংচুর চালাতে নিষেধ করেন।
মইনুল হক এজাহারে লেখেন- এসময় দু’পক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। আসামিরা সেদিন প্রকাশ্যে আমার ভাইকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এর জের ধরে ৬ নভেম্বর রাত ৮ টার দিকে আমার ভাই প্রাইভেটকারে বালুচরে নিজ বাসায় যাওয়ার সময় বড়বাজার এলাকায় ৪/৫ টি মোটরসাইকেল যোগে আসামিরা পিছু নেয়। এসময় তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা কামাল হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
সিলেটে কামাল হত্যা: ছাত্রলীগ নেতা সম্রাটসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা