সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল (৪৪) হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত আসামি কুটিকে (২৪) মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।
কুটি সিলেট নগরের বড়বাজার গোয়াইপাড়া এলাকার মৃত নূর মিয়ার ছেলে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কুটিকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ। কুটি বিএনপি নেতা কামাল হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত কামালের বড় ভাই ময়নুল হক হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আজিজুর রহমান ওরফে সম্রাটকে (৩৫) প্রধান করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যা: ছাত্রলীগ নেতা সম্রাটসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এ ছাড়াও পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। অভিযুক্ত সম্রাট জেলা ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। তবে তার দলীয় পদপদবি নেই।
রবিবার (৬ নভেম্বর) রাত সোয়া আটটায় নগরের আম্বরখানা এলাকায় খুন হন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল। এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এ খুনের পেছনে সরকারদলীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়িত। ওই রাতেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে নির্মিত তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।
ভাঙচুরের খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাঙচুরকারীদের ধাওয়া দেন। এ সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর ও মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এদিকে, আ ফ ম কামাল হত্যার জেরে সিলেটে ছাত্রদলের মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার দিনে কতোয়ালি থানা পুলিশ তাদের আটকের পর মঙ্গলবার বিকালে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুলের বিবৃতি