সিলেটে শ্বাসরুদ্ধ করে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার দায়ে হাসান মুন্সি নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর আদালতের বিচারক নুরে আলম ভুঁইয়া এ রায় দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি জুবায়ের বখত।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- হাসান মুন্সি ওরফে কামরুল হাসান। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মাকসুদপুর খালপার কমলাপুরের নজরুল মুন্সির ছেলে। তিনি হত্যাকাণ্ডের আগে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া খেয়াঘাট গলির প্রবাসী কামালের কলোনির ৫ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সকালে নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া খেয়াঘাট গলির প্রবাসী কামালের মালিকানাধীন সেমিপাকা ঘরের বাথরুম থেকে গৃহবধূ জনি আক্তার জয়নব ওরফে শিউলি (৩৫), তার সন্তান মিম (১৫) ও তাহসিনের (১৩) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিউলির চাচাতো ভাই নগরীর কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে হাসান মুন্সিসহ অজ্ঞাত পাঁচজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, শিউলি ও হাসান মুন্সির ১৬ বছরের দুই সন্তান হয়। একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নিয়ে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় আসেন হাসান। আর পরিবারের লোকজনকে রেখে আসেন সিলেটের সুরমার ঝালোপাড়ায় ভাড়া বাসায়।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সন্ধ্যার পর বাদী জানতে পারেন হাসান মুন্সি তার চাচাতো বোন ও ভাগ্নিদের ওই বছরের ২৬-২৮ জুলাইয়ের কোনো একদিন হত্যা করেন এবং বাসায় বাইরে থেকে তালা মেরে পালিয়ে যান।
৩০ জুলাই সকালে দুর্গন্ধ ছড়ালে ঘরের দরজা ভেঙে বাথরুম থেকে গলিত অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লোকমান আহমদ।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক কামরুজ্জামান তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একমাত্র হাসান মুন্সিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি বিচারের জন্য অত্র আদালতে পাঠানো হলে আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত হাসান মুন্সিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় জজ মিয়া হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড