ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত আগের চেয়ে অনেক ভালো আছে বলে মনে করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশিদের নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সীমান্তে কোনো অসুবিধা নেই। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমি নিজেও একজন সীমান্তবর্তী এলাকার সংসদ সদস্য। গেল ১৪ বছর ধরে আমি এই দায়িত্ব পালন করছি। আমি এমন কোনো সমস্যাবোধ করিনি।
তিনি জানান, তবে কিছু জায়গায় কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। এগুলো আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের কোনো বিষয় না। বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প থেকে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া উপকৃত হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের একটি ক্রুজ বাংলাদেশে আসছে। বাগেরহাট, মোংলা, চাঁদপুরসহ আমাদের বিভিন্ন জায়গায় এটি ভ্রমণ করবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এসব জায়গায় কিছু সুবিধা-অসুবিধার বিষয় আাছে। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের পর আমাদের স্থলবন্দরগুলোর কার্যক্রম এখন পর্যন্ত পুরোদমে শুরু হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অনেক জায়গায় তারা (ভারতীয় কর্তৃপক্ষ) আমাদের ভিসা ইস্যু করছে না। সে সব জায়গায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ বিষয়গুলো সুরাহায় তারা আস্তে আস্তে পদক্ষেপ নেবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আর আমাদের অনেকগুলো বন্দর এখনো চালু হওয়ার অপেক্ষায় আছে। এরমধ্যে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরও রয়েছে। রামগড় স্থলবন্দর উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি পাঠানো হয়েছে। জানুয়ারিতে চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি জানান, আগামী এপ্রিল বা মে মাসে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল চালু করা হবে। আন্ধারমানিক নদীতে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ না-হওয়া পর্যন্ত সেখানে ফেরি চলবে। হয়ত জানুয়ারিতেই আমরা রামগড়টা চালু করতে পারব।
বুধবার লালমনিরহাট সীমান্তে বিএস দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমাদের দুদেশের সম্পর্ক খুবই মধুর। এগুলোর সঙ্গে এটির কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন আমাদের স্থলবন্দর অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ১.৫০ মিটারের বিষয়টিতে বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে সমস্যা হয়। কিন্তু এগুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান হচ্ছে। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এগুলো যেন না হয় সে জন্য দুদেশের সরকার কাজ করছে।
তার মতে, একটা সময় আমাদের অনেক মানুষ সীমান্ত হত্যার শিকার হতেন। এখন তো বছরে হয়ত একটা-দুটো ঘটনা ঘটছে। সেগুলো যাতে না ঘটে, সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী