বাংলাদেশ এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সৈয়দপুর থেকে কী ধরনের ফ্লাইট পরিচালনা করা যায় তা খতিয়ে দেখবে একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গেওয়ালির সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই। আমরা বিমানবন্দরটির সম্প্রসারণ করছি। বর্তমানে ১২-১৪ ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যায়। যার ফলে লোকজন সহজে ঢাকায় আসতে পারেন।’
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার সাংবাদিকদের বলেন, দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ, ট্রানজিট, পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা উন্নয়নের উপায় নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সম্প্রতি ভারতীয় কোম্পানি জিএমআরকে নেপালে জলবিদ্যুতে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। যার ফলে জিএমআরের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
‘বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি নতুন এক অধ্যায় খুলে দেবে,’ বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, তারা যোগাযোগ, পর্যটন, জলবায়ু ও রোহিঙ্গা সংকট এবং বাণিজ্যিক বাধা বিশেষ করে অশুল্ক বাধা দূর করার উপায় নিয়ে কথা বলেছেন।
ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুদেশ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই করার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
পরে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজধানীর বিআইআইএসএস মিলনায়তনে বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ক নিয়ে এক আলোচনায় অংশ নেন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।