রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে স্ত্রী ও মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মুকুন্দ চন্দ্র দাস।
সোমবার (২৬ জুলাই) চিকিৎসা শেষে আসামি মুকুন্দ্র চন্দ্র দাসকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন তিনি।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
পড়ুন: কামরাঙ্গীরচরে আগুন: আহত দম্পতির মৃত্যু
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কামরাঙ্গীরচর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুকুন্দ্র চন্দ্রের বড় মেয়ে ঝুমা রাণীকে আদালতে হাজির করেন। এরপর সাক্ষী হিসেবে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিনুর রহমানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। একই দিন আদালত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন।
পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতে জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তার
মেহেরপুরে সমাজসেবা কর্মচারী হত্যা: গ্রেপ্তার ফারুকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
গত ১০ বছর ধরে এই পরিবার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বসবাস করছে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। মোহন্দ্র চন্দ্র ভ্যানগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করতেন। আসামি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং ঋণেরকারনে হতাশায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি আর্থিক টানাপোড়েনের জেরে স্ত্রীকে মারধর করেছিলেন।
গত শুক্রবার রাতে স্ত্রী ফুলবাসী রানী দাস (৩৪) ও তার ১১ বছরের মেয়ে সুমী রানী দাসের মুখে কীটনাশক ঢেলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মুকুন্দ্র চন্দ্র দাস। মুকুন্দ্র চন্দ্র দাসও কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা করেন ফুলবাসী রানী দাসের বোন বিশাখাবাসী রানী দাস।