রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের ‘সফটলোন অনুমোদন কমিটির’ কাছে আবেদন করতে হবে। তারপর নিয়ম অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ঋণ প্রদান করবে।
গত ৪ নভেম্বর ইউজিসির এক সভায় ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৫০১ জন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীকে সফটলোনের আওতায় স্মার্টফোন কিনতে জনপ্রতি সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, এ ঋণ ক্যাম্পাস খোলার পর থেকে সনদপ্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত যেকোনো সময় সমান চার কিস্তিতে বা এককালীন পরিশোধ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত না দেয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর নামে কোনো ট্রান্সক্রিপ্ট ও সাময়িক বা মূল সনদ ইস্যু করা হবে না।
সভায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্তৃক গঠিত ‘সফটলোন অনুমোদন কমিটির’ সুপারিশের আলোকে শিক্ষার্থীকে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩১ জানুয়ারি ২০২১-এর মধ্যে বরাদ্দ দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি।
এ বিষয়ে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, স্মার্টফোন কেনার ঋণ প্রদানের জন্য আমরা সরকার ও ইউজিসিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটা শিক্ষার্থীদের একটি জোরালো দাবি ছিল। অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণের জন্য অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা ছাড়াও বিগত চারমাস যাবত বিনামূল্যে ১৫ জিবি করে সহায়তা প্রদান করে আসছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। স্মার্টফোন কেনার অর্থও আমরা দ্রুত শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিব।