বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী ডায়না চত্বরে জড়ো হয়ে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ভিসি ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা সেখানে সমাবেশ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভকারীরা পুনরায় হলের কার্যক্রম চালু না করা হলে তাদের আন্দোলন আরও তীব্র করার হুমকি দেন।
আরও পড়ুন: হল খুলে দিতে রাবি শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা ভিসি অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের সাথে দেখা করেন।
ভিসি বলেন, সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশ ছাড়া তারা হলগুলো পুনরায় খুলতে পারবেন না।
আগামী বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সাথে এ বিষয়ে আলোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার আগামী মার্চ মাসের মধ্যে হলগুলো পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই ছুটি পরবর্তীতে কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর সর্বশেষ তা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘বর্ধিত ছুটি চলাকালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
এর আগে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পরিস্থিতি ক্রমাগত উন্নতি হয়েছে এবং ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
বর্ধিত ছুটি চলাকালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৩৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ফটক ভেঙে হলের দখল নিচ্ছেন জাবি শিক্ষার্থীরা
সড়ক অবরোধ তুলে নিলেও দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ববি শিক্ষার্থীদের
এছাড়া, এই সময়ের মধ্যে ৩২৭ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫১ জনে পৌঁছেছে।
এর আগের দিন শনিবার একদিনে নতুন পাঁচজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যা ছিল গত ১০ মাসের মধ্যে একদিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু। এছাড়া এসমেয়ের মধ্যে ৩৫০ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়।
গত বছরের ১৫ এপ্রিল একদিনে চারজনের মৃত্যুর কথা জানায় অধিদপ্তর। এরপর থেকে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৪টি পরীক্ষাগারে ১৪ হাজার ২১২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৩৬টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২.৩৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৭৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমকি ৪৩ শতাংশ।